- প্রথম পাতা
- অপরাধ
- অর্থনীতি
- আইন আদালত
- আন্তর্জাতিক
- আবহাওয়া
- এক্সক্লুসিভ
- কৃষি
- খেলাধুলা
- জাতীয়
- জেলা সংবাদ
- ঈশ্বরদী
- কক্সবাজার
- কিশোরগঞ্জ
- কুড়িগ্রাম
- কুমিল্লা
- কুষ্টিয়া
- খাগড়াছড়ি
- খুলনা
- গাইবান্ধা
- গাজীপুর
- গোপালগঞ্জ
- চট্টগ্রাম
- চাঁদপুর
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ
- চুয়াডাঙ্গা
- জয়পুরহাট
- জামালপুর
- ঝালকাঠি
- ঝিনাইদহ
- টাঙ্গাইল
- ঠাকুরগাঁও
- ঢাকা
- দিনাজপুর
- নওগাঁ
- নড়াইল
- নরসিংদী
- নাটোর
- নারায়ণগঞ্জ
- নীলফামারী
- নেত্রকোনা
- নোয়াখালী
- পঞ্চগড়
- পটুয়াখালী
- পাবনা
- পিরোজপুর
- ফরিদপুর
- ফেনী
- বগুড়া
- বরগুনা
- বরিশাল
- বাগেরহাট
- বান্দরবান
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- ভোলা
- ময়মনসিংহ
- মাগুরা
- মাদারীপুর
- মানিকগঞ্জ
- মুন্সীগঞ্জ
- মেহেরপুর
- মৌলভীবাজার
- যশোর
- রংপুর
- রাঙ্গামাটি
- রাজবাড়ী
- রাজশাহী
- লক্ষ্মীপুর
- লালমনিরহাট
- শরীয়তপুর
- শেরপুর
- সাতক্ষীরা
- সাতক্ষীরা
- সিরাজগঞ্জ
- সিলেট
- সুনামগঞ্জ
- হবিগঞ্জ
- তথ্যপ্রযুক্তি
- ধর্ম
- নির্বাচন
- প্রবাস
- বাংলাদেশ
- বিনোদন
- ব্যবসা-বানিজ্য
- রাজনীতি
- শিক্ষা
- স্বাস্থ্য
নেতানিয়াহুকে উপেক্ষা করে গাজায় যুদ্ধবিরতি চান ইসরাইলি জেনারেলরা
- আপডেটেড: বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪
- / পঠিত : ৫৯ বার
ডেইলি এসবি নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে উপেক্ষা করে গাজায় যুদ্ধবিরতি চান ইসরাইলি জেনারেলরা। হামাসের হাতে থাকা বাকি জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য এই যুদ্ধবিরতি জরুরি বলে মনে কারেন এসব জেনারেলরা। এছাড়া লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে দমনের ক্ষেত্রেও গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন বলেন মনে করেন তারা।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) প্রকাশিত মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের এক বিশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ইসরাইলের সাবেক ও বর্তমান ৬ সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
এই ৬ সেনা কর্মকর্তা মনে করেন, হামাসের হাতে থাকা আরও প্রায় ১২০ জিম্মিকে দ্রুত উদ্ধারে যুদ্ধবিরতি জরুরি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসব সেনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরাইলি সেনাবাহিনীর শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা মনে করেন—তাদের বাহিনী, এখন বিগত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘতম যুদ্ধের জন্য সুসজ্জিত নয়। তারা বলছেন, হিজবুল্লাহর সঙ্গে পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধ শুরু হলে বাহিনীকে পুনরায় সজ্জিত করার জন্য সময় প্রয়োজন।
তারা জানিয়েছেন, সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হেরজি হালেভিসহ প্রায় ৩০ জন জ্যেষ্ঠ জেনারেলের সমন্বয়ে গঠিত ইসরাইলের শীর্ষ সামরিক নীতি নির্ধারণী সংস্থা জেনারেল স্টাফ ফোরাম গাজায় একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি হিজবুল্লাহর সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে পারে বলে মতৈক্যে পৌঁছেছে।
বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই একটি গুজব ভেসে বেড়াচ্ছে যে—এমনটা না হলে জেনারেল হালেভির পদত্যাগ করতে পারেন। অবশ্য এ বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, ইসরাইলের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ইয়াল হুলাতা বলেছেন, ‘সেনাবাহিনী জিম্মি চুক্তি ও যুদ্ধবিরতিকে পূর্ণ সমর্থন করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধবিরতি লেবাননে উত্তেজনা হ্রাসের সম্ভাবনা বাড়াবে এবং হিজবুল্লাহর সঙ্গে একটি সম্ভাব্য বৃহত্তর সংঘাতের ক্ষেত্রে (ইসরাইলকে) প্রস্তুত হওয়ার পর্যাপ্ত সময় দেবে।’
গাজায় যুদ্ধ পরিচালনা সংক্রান্ত কৌশলে সশস্ত্র বাহিনীর পরিবর্তন ও নেতানিয়াহু সরকারের সুনির্দিষ্ট ‘গাজা পরিকল্পনার রূপরেখা’ না থাকার কারণে সমরবিদদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। সরকারি দিকনির্দেশনার অভাবে গাজায় একটি ‘পাওয়ার ভ্যাকুয়াম’ বা শক্তির শূন্যতা তৈরি হয়েছে। এর ফলে, ইসরাইলি বাহিনী হামাস যোদ্ধাদের একটি এলাকা থেকে সরিয়ে দিলেও শিগগিরই সেই এলাকা আবার দখল হয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় সমর নেতারা প্রকাশ্যে তাদের ব্যক্তিগত অসন্তোষ তুলে ধরছেন।
নেতানিয়াহু হামাসকে নির্মূল করা এবং জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করাসহ যুদ্ধের সব লক্ষ্য অর্জনে তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকসহ বিশেষজ্ঞেরা এসব লক্ষ্য অর্জনকে সুদূর পরাহত বলে আখ্যা দিয়েছেন। গাজা আগ্রাসনের ৯ মাস পর, ইসরাইলি জেনারেলরা উপসংহারে পৌঁছেছেন যে—জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য অব্যাহত সামরিক অভিযান তাদের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। তারা আরও মনে করছেন, গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো সুস্পষ্ট পরিকল্পনা না থাকায় দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত হামাসকে অক্ষতই রাখবে এবং বিপরীতে ইসরাইলি বাহিনীর সম্পদ ও মনোবল নষ্ট হবে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর জনসাধারণের জন্য যেসব বিবৃতি দিচ্ছে, সেখানে সরাসরি যুদ্ধবিরতিকে সমর্থন না করা হচ্ছে না। তবে এই বিষয়টি নেতিবাচক হতে পারে বলে মনে করেন ইসরাইলি সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারি। তিনি ইঙ্গিত করেছেন, বর্তমান কৌশল জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করছে।
তবে জেনারেলরা গাজায় যুদ্ধবিরতি চাইলেও সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু যুদ্ধ শেষ করার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে একই সঙ্গে দেশের উত্তর সীমান্তে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বেশির ভাগ অংশ পুনরায় মোতায়েনের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেছেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ইসরাইল তার সামরিক বাহিনীকে চাপে ফেলেছে এবং বর্তমানে এর রসদ-সরঞ্জাম ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। নিয়মিত সেনাদের বাইরে রিজার্ভ সেনাদের মনোবল কমে গেছে। এরই মধ্যে ৪ হাজার সেনা আহত হয়েছে গাজা যুদ্ধে। এই অবস্থায় সরঞ্জামের ঘাটতির বিষয়টি আমলে নিয়ে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী সংঘাতের পরিধি বাড়ানোর বিষয়ে সতর্ক।সূত্র: এএফপি
শেয়ার নিউজ
নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন
-
সর্বশেষ
-
পপুলার