- প্রথম পাতা
- অপরাধ
- অর্থনীতি
- আইন আদালত
- আন্তর্জাতিক
- আবহাওয়া
- এক্সক্লুসিভ
- কৃষি
- খেলাধুলা
- জাতীয়
- জেলা সংবাদ
- ঈশ্বরদী
- কক্সবাজার
- কিশোরগঞ্জ
- কুড়িগ্রাম
- কুমিল্লা
- কুষ্টিয়া
- খাগড়াছড়ি
- খুলনা
- গাইবান্ধা
- গাজীপুর
- গোপালগঞ্জ
- চট্টগ্রাম
- চাঁদপুর
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ
- চুয়াডাঙ্গা
- জয়পুরহাট
- জামালপুর
- ঝালকাঠি
- ঝিনাইদহ
- টাঙ্গাইল
- ঠাকুরগাঁও
- ঢাকা
- দিনাজপুর
- নওগাঁ
- নড়াইল
- নরসিংদী
- নাটোর
- নারায়ণগঞ্জ
- নীলফামারী
- নেত্রকোনা
- নোয়াখালী
- পঞ্চগড়
- পটুয়াখালী
- পাবনা
- পিরোজপুর
- ফরিদপুর
- ফেনী
- বগুড়া
- বরগুনা
- বরিশাল
- বাগেরহাট
- বান্দরবান
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- ভোলা
- ময়মনসিংহ
- মাগুরা
- মাদারীপুর
- মানিকগঞ্জ
- মুন্সীগঞ্জ
- মেহেরপুর
- মৌলভীবাজার
- যশোর
- রংপুর
- রাঙ্গামাটি
- রাজবাড়ী
- রাজশাহী
- লক্ষ্মীপুর
- লালমনিরহাট
- শরীয়তপুর
- শেরপুর
- সাতক্ষীরা
- সাতক্ষীরা
- সিরাজগঞ্জ
- সিলেট
- সুনামগঞ্জ
- হবিগঞ্জ
- তথ্যপ্রযুক্তি
- ধর্ম
- নির্বাচন
- প্রবাস
- বাংলাদেশ
- বিনোদন
- ব্যবসা-বানিজ্য
- রাজনীতি
- শিক্ষা
- স্বাস্থ্য
মেরে ফেলতে’ বলা শিশুকে বাঁচালেন ঢামেকের চিকিৎসকরা
- আপডেটেড: মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩
- / পঠিত : ২৪১ বার
মায়ের গর্ভেই জন্মগত ক্রটি ধরা পড়ায় প্রতিবেশীদের পরামর্শে একটি অনাগত নবজাতককে মেরে ফেলতে চায় পরিবার। তবে ওই শিশুটির জীবন বেঁচেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চিকিৎসকদের চেষ্টায়। সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া সেই শিশুটির নাম বেহেশতি ঝর্ণা।
সোমবার (২৯ মে) ঢামেক হাসপাতালের নবজাতক ও শিশু সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. টাবলু আব্দুল হানিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ঢামেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মায়ের গর্ভে শিশুটির বয়স যখন ২২ সপ্তাহ, তখন আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করে জানা যার তার খাদ্যনালির পাকস্থলির পর ক্ষুদ্রান্ত্রের শুরু ডিওডেনামে বাঁধার পরের অংশ জেজুনামে খাবার যাবে না। মেডিকেলের ভাষায় যাকে বলা হয় ডিওডেনাল এট্রেসিয়া। শিশুটির পরিবার এবং প্রতিবেশীরা তার এই জন্মগত ক্রটির কথা জানতে পেরে গর্ভেই তাকে মেরে ফেলার পরামর্শ দেন।
পরবর্তী সময়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের গাইনীর সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মুনিরা ফেরদৌসে কাছে অনাগত শিশুটির বাবা মা গেলে, তিনি তাদের ঢামেক হাসপাতালে পাঠান। এরপর ঢামেক হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসকরা মা-বাবাকে আশ্বাস দেন, শিশুটি পৃথিবীতে আসলে তারা তাদের সর্বস্ব চেষ্টা দিয়ে শিশুটিকে সুস্থ করতে পারবেন।
জানা গেছে, সবশেষে চিকিৎসকদের চেষ্টায় শিশুটি পৃথিবীর আলোর মুখ দেখতে পায়। পরে এ্যানেস্হেসিয়া বিভাগের অধ্যাপক ডা. দিলীপ ভৌমিক, নিওনেটাল সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. জগলুল গাফফার খান জিয়া এবং ডা. পার্থ সারথি মজুমদার তিনদিন বয়সী ১.৭ কেজি ওজনের শিশুটির বাইপাসের অপারেশন করেন। পরবর্তী সময়ে হাসপাতালটির শিশু নবজাতক বিভাগের ডা. ইশরাত লাকী, এনআইসিইও কেয়ার টিম এবং শিশু সার্জারী বিভাগের ডা. আহমদ জাহিদ হোসেন সোহেলের ফলোআপ অপারেশনের ছয়দিন পর শিশুটি মায়ের বুকের দুধ খেতে পায়। সবশেষে আজ (সোমবার) শিশুটিকে সুস্থ অবস্থায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালের নবজাতক ও শিশু সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. টাবলু আব্দুল হানিফ বলেন, এ ধরনের আরও কিছু জন্মগত ত্রুটি থাকা বাচ্চা মায়ের পেটে থাকাকালীন সময় থেকে আমরা ফলোআপ করি। কিছু ক্ষেত্রে জন্ম নেওয়ার পর শিশুটিকে আমরা স্বাভাবিকও পাই। তবে কিছু ক্ষেত্রে সে আমাদের ফলোআপে থাকে। সবশেষে ফলোআপ অপারেশন করার পর সে ভালো হয়ে যায়।
তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে বাচ্চা না হওয়ার জন্য বন্ধ্যাত্ব একটা আলাদা বিষয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। যেখানে বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় লাখ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে, সেখানে অবশ্যই মায়ের পেটের কোনও বাচ্চা মেরে ফেলাটা হবে খুবই নির্মমতা। এরকম কোনও সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে অবশ্যই শিশু সার্জনদের মতামত নেবেন। জটিল কার্ডিয়াক এনোমালি ছাড়া বেশিরভাগ জন্মগত ত্রুটি অপারেশনের মাধ্যমে ভালো করা সম্ভব। আর যেসব বাচ্চার বেশি জটিলতা থাকে তা আগেই এবরোশন হয়ে যায়।
শেয়ার নিউজ
নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন
-
সর্বশেষ
-
পপুলার